Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রখ্যাত ব্যাক্তিত্ব

১। নবাব বাহাদুর নবাব আলী চৌধুরী

২। ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (এম.পি)

৩। ড: সানোয়ার


নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী: টাঙ্গাইলের ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের অন্যতম হলেন ধনবাড়ির নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী। ১৮৬৩ সালে ২৯ ডিসেম্বর ধনবাড়ি জমিদার পরিবারে তার জন্ম। পিতার নাম জনাব আলী চৌধুরী ও মাতার নাম সাইয়েদা রাবেয়া খাতুন। নওয়াব আলী চৌধুরী ১৯০৬ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার সদস্য, ১৯১২ থেকে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত বাংলা প্রেসিডেন্সী ব্যবস্থাপক সভার সদস্য, ১৯১৬ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত ভারতীয় আইনসভার সদস্য, ১৯২১ সালে বঙ্গীয় আইন সভার সদস্য এবং ১৯২৩ ও ১৯২৫ সালে দুই দুই বার কৃষি ও শিল্প বিভাগের মন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন। তিনি ১৯০৬ সালে খান বাহাদুর, ১৯১১ সালে নবাব বাহাদুর এবং ১৯১৮ সালে সি আই ই খেতাব লাভ করেন। তিনি নওয়াব ইনস্টিটিউশন, নওয়াব প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অকাতরে অর্থ ব্যয় করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নওয়াব আলী চৌধুরী অপরিমেয় অবদান রেখেছিলেন, একথা সর্বজনবিদিত। বঙ্গভঙ্গ রদের পর ১৯১২ সালের ৩ ও ৪ মার্চ কলিকাতায় নওয়াব সলিমুল্লার সভাপতিত্বে ‘নিখিল ভারত মুসলিম লীগ’-এর পঞ্চম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নওয়াব আলী চৌধুরীর তিনটি প্রস্তাব গৃহীত হয় : (১) উচ্চশিক্ষায় পূর্ববাংলা ও আসামের অধিবাসীদের আপেক্ষিক পশ্চাৎপদতার নিরিখে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ ঢাকায় একটি শিক্ষাদায়ক ও আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাবকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। মূলত এ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি ভারত সরকার কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণার পর থেকে ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ, অর্থাৎ যে দিন ভারতের কেন্দ্রীয় আইন সভায় ‘১৯২০ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যাক্ট নম্বর ১৮’পাস হয়। সেদিন পর্যন্ত নওয়াব আলী চৌধুরীর চেষ্টার কোনো বিরাম ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির অন্যতম সদস্যরূপে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে তিনি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯১২-১৯২০ সালে পর্যন্ত নওয়াব আলী চৌধুরী ব্রিটিশ-রাজের সাথে নানাভাবে দেন-দরবার ও আইনসভায় বিল উত্থাপন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ক্রমাগত ব্রিটিশ সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অর্থাভাব দেখা দিলে নিজের জমিদারির একাংশ বন্ধক রেখে ৩৫ হাজার টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে দান করেন। ছাত্রদের বৃত্তির জন্য দান করেন ১৬ হাজার টাকা। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের নামকরণ করেন এই মহৎ ব্যক্তির নামে। বাংলাভাষার প্রতি এই মানবদরদির ভালোবাসাও ছিলো অকৃত্রিম। যার বহিঃপ্রকাশ করেছিলেন বাংলাভাষাকে অবিভক্ত বাংলার রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য ব্রিটিশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক পত্র লিখে। এই বরেণ্য ব্যক্তির উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হচ্ছে ঈদুল আজহা (১৯০০), মৌলুদ শরীফ (১৯০৩), ভারনাকুলার এডুকেশন ইন বেঙ্গল (১৯০০) এবং প্রাইমারি এডুকেশন ইন রুরাল এরিয়াস (১৯০৬)। ১৯২৯ সালে ১৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নওশের আলী খান ইউস্ফজী: জন্ম ১৮৬৪ সালে কালিহাতির চারান গ্রামে। পিতা শওহার আলী। ত্রিরত্ন আব্দুল হামিদ খান ইউস্ফজী (১৮৪৫-১৯১০), রেয়াজউদ্দীন আহমদ মাশহাদী (১৮৫৯-১৯১৯) ও নওশের আলী খান ইউস্ফজী (১৮৬৪-১৯২৪) কেবল সমসাময়িক ও পারস্পরিক আত্মীয় ছিলেন না, তাঁরা একই পথের পথিক ছিলেন।

টাঙ্গাইল মহকুমায় মুসলিম সমাজে তিনিই প্রথম এফএ পাস করেন ১৮৮৭ সালে। উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলায় তিনিই প্রথম মুসলমানদের মধ্যে এফএ পাস ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৮৮৯ সালে পাকুল্লায় সাব-রেজিস্টার পদে চাকুরি গ্রহণ করেন। বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করলেও গদ্যে ছিল তাঁর ভালো দখল। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাবলির মধ্যে ‘বঙ্গীয় মুসলমান (১৮৯১)’, ‘শৈশব-কুসুম (১৮৯৫ কবিতার বই, আহম্মদী প্রেস টাঙ্গাইল, ১৩০২ বাং)’, ‘দলিল রেজেস্টরি শিক্ষা (১৮৯৭)’, ‘মোসলেম জাতীয় সঙ্গীত (১৯০৯)’, ‘সাহিত্য প্রভা (১৯১৪)’ইত্যাদি। তিনি ৯ মে ১৯২৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।


ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক:

ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ি উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোঃ জালাল উদ্দিন তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি গবেষণা বিভাগে চাকরি করতেন। মাতা রেজিয়া খাতুন একজন গৃহিনী । 

 

ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে ধনবাড়ি নওয়াব ইনস্টিটিউট হতে তিনি কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাশ করেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ  থেকে ১৯৭১ সালে বিএসসি (এজি) এবং ১৯৭২ সালে কৃষিতত্ত্বে এম এস সি (এ.জি) ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গমণ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পারডু বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৮৩ সালে পি এইচ ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। 

 

এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যের ইস্ট এনজেলিয়া ইউনিভারসিটি থেকে ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারের অধীনে ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট, জাইকার ব্যবস্থাপনায় জাপানে স্ট্র্যাটেজিস ফর সাসটেইনেবল এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ বেশ কিছু বিষয়ে তিনি উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক প্রকাশিত মেথডোলজিক্যাল গাইড লাইন্স ফর ফার্মিং সিস্টেম রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ শীর্ষক বইয়ের রচয়িতাদের একজন। এছাড়াও বিভিন্ন জার্নালে তাঁর ২৫ টিরও অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে । বিভিন্ন বিদেশি ম্যাগাজিনে তাঁর কৃষি বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক প্রকাশিত বেশ কিছু ডকুমেন্টের সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করেছেন।

 

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বি.এ.আর.সি) এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ড. মো: আব্দুর রাজ্জাকের কর্মজীবন শুরু। এ প্রতিষ্ঠানেই তিনি মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া তিনি কৃষি গবেষণার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্মদিগন্ত সমন্বিত ফার্মিং সিস্টেম গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মসূচির ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।  পেশাগত কাজে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন।

 

রাজনৈতিক অঙ্গনে তার বিচরণ ষাটের দশকে অর্থাৎ স্কুল জীবন থেকে। তিনি ১৯৬৯-৭০ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি বাঙালির মুক্তি সনদ ৬ দফা ও ১১ দফা ভিত্তিক গণ-আন্দোলনে অংশ নেন। এ আন্দোলনে সক্রিয়া ভূমিকা পালনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাধীনতার পরে ১৯৭২-১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার  প্রথমে সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় কার্যকরি পরিষদের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। অসাধারণ নেতৃত্বগুণ, কর্তব্যপরায়নতা, নিষ্ঠাগুণে আজ তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন সফল ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী  কমিটিতে ২০০২ থেকে  ২০১৬ সাল পর্যন্ত (৩ মেয়াদে)  কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য।

 

ছাত্রজীবন থেকেই ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক নিজ এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিজকে নিয়োজিত রেখেছেন। ১৯৬৯ সালে নিজ গ্রাম মুশুদ্দিতে প্রগতি সংঘ প্রতিষ্ঠায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এ ক্লাবের মাধ্যমেই তার নেতৃত্বে ১৯৬৯ সালে মধুপুর-ধনবাড়ি এলাকার প্রথম শ্রেণীর বিদ্যাপীঠ মুশুদ্দি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ধনবাড়িকে একটি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন ছিলো। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ১৯৯৮ সালে ধনবাড়িতে থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০১ সালে উপজেলা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। থানা প্রতিষ্ঠায় ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় মুশুদ্দি ইউনিয়ন গোপালপুর থেকে ধনবাড়ি উপজেলার সাথে সংযুক্ত হয়। অবহেলিত ধনবাড়ি এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা করার দাবি তুলে ধরেন। বর্তমানে ধনবাড়ি পূর্ণাঙ্গ উপজেলায় পরিণত হয়েছে। 

 

তিনি অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পেশাজীবী ও সামাজিক সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত। ১৯৯৬-৯৭ সালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ও প্রকৃচির মহাসচিব ছিলেন। ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক আমেরিকান সোসাইটি অব অ্যাগ্রোনমি, ক্রপ সাইন্স সোসাইটি অব আমেরিকা, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর দা অ্যাডভান্সমেন্ট অব সাইন্স (বি.এ.এ.এস), বাংলাদেশ এগ্রোনমি সোসাইটি, বাংলাদেশ হর্টিকালচার সোসাইটি ও বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনস্ এর সদস্য।

 

তিনি ২০০১ সালের  ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং জাতীয় সংসদের কৃষি মন্ত্রণালয় ও অনুমিত হিসাব সংক্রান্ত দু‘টি স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন দেশ সফর করেন।

 

ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ৬ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান এবং সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। 

 

তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দশম জাতীয় সংসদে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন  করেছেন।

 

তিনি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর   একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। 

 

ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী শিরীন আকতার বানু ঢাকা মহানগরের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবুজর গিফারি কলেজের অধ্যক্ষ/প্রিন্সিপাল হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। গান শোনা, সমাজ কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা তাঁর শখ।